লাইফস্টিইল ডেস্ক : একটি যন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হয়। আর আমাদের জীবন তো একটা মহাযন্ত্র! তাই সুষ্ঠু নিয়ম-কানুন ব্যতিরেকে আমাদের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা একবারেই অসম্ভব। তেমনি সফলতা কোনো নির্দিষ্ট ছক ধরে আসে না। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে তা মানুষের জীবনে সফলতা বয়ে আনতে সাহায্য করে।
আসুন জেনে নিই জীবনে সফলতা পাবার সেই পরামর্শগুলো।
১. বাস্তবতা মেনে নিন। সবকিছু সাদরে গ্রহণ করে নিতে পারা একটা ভালো গুণ। এটা আপনার সব ধরনের মানসিক চাপকে দূরীভূত করতে সাহায্য করে। যেকোনো ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার শক্তি দেবে।
২. বন্ধুদের মাত্রাতিরিক্ত বিশ্বাস করবেন না। বন্ধুরা আপনাকে পথেও বসাতে পারে। অন্যদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শত্রুদের ব্যবহার করার ক্ষমতা অর্জন করা। এটাও শিখে নিতে হবে।
৩. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলবেন না। আপনি কাউকে অভিভূত করার জন্য যদি প্রচুর কথা বলা শুরু করেন তাহলে তা আপনাকে সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রকাশ করবে।
৪. আকাঙ্খার দাসত্ব করবেন না। অধিক আকাঙ্খা আপনাকে যন্ত্রণা এনে দিবে,আপনি আপনার বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই কখনোই আকাঙ্খার দাস হবেন না।
৫. নিজেকে অধিক আনন্দে মাতাবেন না। একজন মানুষ হিসেবে আমরা তখনই অসুখী যখন আমাদের যা আছে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারি না এবং আরও অধিক প্রত্যাশা করি।মানুষের চাহিদার শেষ নেই, আমাদের একটি ইচ্ছা পূরণ হলে আরেকটা পাওয়ার আকাঙ্খা জাগবে। আমরা শুধু পেতেই চাইবো। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর অর্থ এই না যে, আমরা আনন্দ করবো না! এর অর্থ হলো আমরা অবিরত সুখ প্রত্যাশা করবো না, কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দের সাথে উপভোগ করবো।
৬. পুরোপুরি নিখুঁত কেউই নয়। তাই নিজেকে পুরোপুরি নিখুঁত বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা বৃথা। এ কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৭. সুনামের ওপর গুরুত্ব দিন। এটি আপনার জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই একে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে।
৮. অন্য মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসুন। প্রয়োজনে টোপ ব্যবহার করুন।
৯. আপনার ওপর মানুষকে নির্ভর করতে দিন। এজন্য প্রয়োজনে নানা পদক্ষেপ নিন যেন অন্যরা আপনাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে ধরে নেয়।
১০. অন্যদের সন্দেহের চোখে দেখুন। কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করবেন না। অন্যদের সঙ্গে বন্ধুর মতো হোন। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্ধুত্বের তুলনায় গোয়েন্দাও হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন।
১১. সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য সব সময় উপস্থিতি এড়িয়ে চলুন। কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলে এগুলো অর্জন করা সহজ হয়।
১২. আপনি যখন দুর্বল তখন আত্মসমর্পণের পদ্ধতি অবলম্বন করুন। সময় নিয়ে দুর্বলতা দূর করেশক্তি অর্জন করুন।
১৩. যার সঙ্গে কাজ করছেন তাকে চিনে রাখুন। ভুল মানুষের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই।
১৪. কোনো বিষয়ে কাউকে প্রতিশ্রুতি দেবেন না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া অনেক বড় বিষয়। এটি বহু ঝামেলা সৃষ্টি করে।
১৫. বিনামূল্যের জিনিস বর্জন করুন। যেসব জিনিস অন্যরা বিনামূল্যে দিতে চায় তার পেছনে নির্দিষ্ট একটি কারণ আছে।
১৬. কাজ শুধু শুরু করলেই হয় না, শেষ করতে হয়। তাই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা করুন।
১৭. নিজের মতো করে চলতে অবিচল থাকুন। অন্যরা যাই করুক না কেন, তাতে আপনার বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
১৮. সময় মেনে চলুন। তাড়াতাড়ি কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই আবার দেরি করাও যাবে না। সঠিক সময়ে কাজ করতে হবে।
১৯. পানি শান্ত করে মাছ ধরুন। শত্রুকে উত্তেজিত করে নয় বরং তাকে ঠাণ্ডা করেই নিজের কাজ সমাধান করুন।
২০. মনোযোগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিন। ভিড়ের মাঝেও যেন অন্যরা আপনাকে খুঁজে পায়, সে ব্যবস্থা করুন। অন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন। তবে প্রয়োজনে কাজের সাফল্য নিজের কাঁধে নিতে দেরি করবেন না।
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.