দেশ প্রতিবেদক, যবিপ্রবি : ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ এবং এ রোগে আক্রান্ত হলে করণীয় বিষয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ও ফেস্টুনও টাঙানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি শোভাযাত্রা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সভায় বলেন, ডেঙ্গু রোগ এখন শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতে নয়, সারা দেশে ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করছে। একইসঙ্গে এ রোগ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। এ রোগের বিস্তার যেন না হয়, এ জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সচেতন থাকলেই কেবল এ ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কারোর জ¦র আসলেই জরুরিভাবে আপনারা ডেঙ্গু হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করান। আমাদের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকেরা ২৪ ঘণ্টা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। আমাদের যতখানি ক্ষমতা আছে, ততখানি ক্ষমতা দিয়ে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবো। আপনারা সাবধানে থাকবেন। বাসা-বাড়ির আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
পরিবেশন উন্নয়ন ও সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, যবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক ড. মো: নাজমুল হাসান, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আব্দুর রশীদ, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল, গ্রন্থাগারিক মোহা. আমিনুল হক, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো: হাসান আলী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুন্সী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ, একাডেমিক ভবনসমূহ, প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন এলাকায় ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন এবং স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যান্যদের সহায়তায় মশকের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল ধ্বংস করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও শুরু হয়।
জুলাই ৩১, ২০১৯ at ১৫:৫৯:৪৭ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এআর/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.