দেশ প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি গ্রামে হেদায়েত আলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সদর হাসপাতালের সাবেক সিভিল সার্জনসহ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেশ ও পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা সুরাতহাল রিপোর্ট দেওয়ার সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত হেদায়েতের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত হেদায়েতের ছেলে আক্তার হোসেন তার লিখিতভাবে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন তার পিতাকে গত ১৯/৬/১৯ তারিখ রাতে একদল দুস্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। পরে আমার পিতাকে উদ্ধার করে রাত্রী ৯.৩০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার পিতাকে মৃত ঘোষনা করে। পরদিন আমার পিতার ময়নাতদন্ত শেষে আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। পরে থানায় গিয়ে আমি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করলেও পুলিশ শুধুমাত্র কাদের, বোমা মাসুদ, শাহীন আলী ও শহিদুলের নাম উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে।
পরবর্তীতে আদালত থেকে হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলে আমরা দেখতে পায় আমার পিতার মৃত্যু ১৯/৬/১৯ তারিখে সকাল ১১ টা ১৫ মিনিটে ও ময়নাতদন্ত একই দিনে করার কথা উল্লেখ করে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। উক্ত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুসারে আমার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় হাসপাতালের ডাক্তারা ময়না তদন্ত করে।
এদিকে আমার পিতার শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ডাক্তারগন ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তা উল্লেখ করে নাই। অন্যদিকে আমার পিতা মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে সুরতাল রিপোর্ট করেন সদর থানার অচিন্ত কুমার। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তিনি আঘাতের কোন চিহ্ন পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। বরং তিনি লিখেছেন নিহতের দেহে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল।
আক্তার হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন সদর হাসপাতালের তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাক্তার একেএম খাইরুল আলম,ডা.আবুল হোসেন ও ডা. শামীম কবির ও পুলিশ অফিসার অচিন্ত কুমার আমার পিতার হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করে এই মিথ্যা ময়নাতদন্ত আদালতে পেশ করেছে। বর্তমানে আসামীরা উচ্চ আদালতে জামিন পেয়েছে। আমি ও আমার পরিবার এখন অসহায়। অবিলম্বে আমি সাবেক সিভিল সার্জনসহ ডাক্তার ও অসাধু পুলিশের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আগস্ট ১, ২০১৯ at ১৬:০৭:১৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিটি/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.