দেশ প্রতিবেদক, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানেক্যাল গার্ডেনে উদ্বোধনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রাশিদ আসকারী বলেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনটি শুধু সৌন্দর্যবর্ধন নয় বরং এটি আমাদের কিছু বিভাগের গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। ক্যাম্পাসকে আমরা সবুজ ক্যাম্পাকে পরিণত করতে চাই। এজন্য আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
শনিবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লেক সংলগ্ন এলাকায় বোটানেক্যাল গার্ডেনে উদ্বোধন কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
উপাচার্য আরো বলেন, আমরা চিন্তা করেছি আমাদের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ক্যাম্পাসে ধরে রাখতে হলে নয়নাভিরাম গ্রীন ক্যাম্পাস তৈরী করতে হবে। সেই প্রেরণা থেকে আমরা লেক, বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরীসহ বহুমুখি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে এ বিশ্বকে রক্ষার জন্য প্রতি বছর প্রতিটি মানুষকে অন্তত ১টি করে গাছ লাগাতে হবে। আমরা আমাদের জীববৈচিত্র রক্ষা করতে চাই। এ গার্ডেনের মাধ্যমে আমাদের নব প্রজন্মরা বিভিন্ন গাছের সাথে পরিচিত হতে পারবে।
উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, বোনাটিক্যাল গার্ডেন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন নাসিম বানু, শাপলা ফোরমের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ, সাধরাণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমূখ।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লেকের পাশে ৬ বিঘা জমির উপর ফল, ফুল ও ঔষুধিসহ মোট ৮৫ প্রজাতির গাছ নিয়ে করা হচ্ছে এই গার্ডেন। উদ্ভিদ বৈচিত্র্য ধরে রাখতে গার্ডেনে শতাধিক প্রকারের গাছ থাকবে। যার মধ্যে ফুল গাছ সতের প্রজাতি, তের প্রজাতির ঔধুধি ও ফল ও চার প্রজাতির কাঠ গাছ লাগানো হবে। এছাড়াও শোভা বর্ধণের জন্যও থাকবে ২৩ প্রজাতির গাছ। পরবর্তীতে গার্ডেনের জমির পরিমান সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গার্ডেনের বিশেষজ্ঞ ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোক্তার হোসেন।
আগস্ট ৩, ২০১৯ at ১৮:৪৩:৫৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএন/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.