Take a fresh look at your lifestyle.

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের বাতিঘর

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আধুনিক সময়ে ইসলামি শিক্ষার উন্নতি সাধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা এক কথায় অপরিসীম ও বিস্তৃত এবং ব্যাপক।সেই লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়”।বিজ্ঞান, প্রকৌশল,ব্যবসা প্রশাসন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক ও কলা অনুষদীয় বিষয়ের পাশাপাশি দেশে শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতেই ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামী আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

১৯৭৭ সালে মক্কায় ওআইসি এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।এই সুপারিশের ভিত্তিতে ২২ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে ১৭৫ একরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন ৩ টি অনুষদের অধীনে ১৭ টি বিভাগ নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮ টি অনুষদের অধীনে ৩৪ টি বিভাগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বিশ্বমানের ও নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত শিক্ষকবৃন্দ যারা অত্যন্ত সুচারুভাবে পাঠদান করে থাকেন।তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। আবিষ্কার-গবেষনা সকল ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের নাম বিশ্বের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে।

‘খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ’ গ্রন্থাগারটি বিশ্ববিদ্যালয়টির জ্ঞনচর্চার প্রানকেন্দ্র।সেখানে মোট বইয়ের সংখ্যা ৮৫৩৪৫ ভলিউম। একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে দেশ-বিদেশের পত্রিকা, ম্যাগাজিন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালসমূহ।

শুধুমাত্র জ্ঞানচর্চাই নয়, আতœউন্নয়নমূলক ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সংঘঠন।ডিবেটিং ক্লাব,ইংলিশ লাংগুয়েজ ক্লাব,বুনন,তারুণ্য, রক্তিমা, ক্যাপ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।আন্তবিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলাতেও বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান বেশ ভালো।

বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সাথে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সমন্বয় সাধনই বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

লেখক: সানজিদা আক্তার শান্তা
ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

আগস্ট ৪, ২০১৯ at ২২:৪৫:২৭ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিএইচ/এসজে

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

%d bloggers like this: