মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গোলাম রব্বানী স্মৃতি সংসদের আযোজনে রোববার বিকেলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে জননেতা গোলাম রব্বানীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর প্রয়াত গোলাম রব্বানীর সহধর্মিণী অ্যাড: শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী’র সভাপতিত্বে ও উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সিনিয়র আইনজীবী আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড: বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, অ্যাড: মলয় বিকাশ চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা: আশুতোষ দাশ, নারীনেত্রী শীলা রায়, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বিজন সেন রায়, ডা: কনিজ রহিমা রব্বানী কথা প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জ মহকুমায় সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় গোলাম রব্বানী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনে একজন নির্লোভ পরোপকারী নেতা হিসেবে বর্তমান সময়ের নতুন প্রজন্মের কাছে গোলাম রব্বানীর আদর্শ অনুকরণীয়। গোলাম রব্বানী তাঁর কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
জননেতা গোলাম রব্বনী ছিলেন একাধারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ। তিনি সরল, সহজ, সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। সদালাপি গোলাম রব্বানী ছিলেন সাহসী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদী। ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব হলেও ৬২সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬৯সালের গণঅভ্যুত্থান, ৭০সালের নির্বাচন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পরে প্রয়াত গোলাম রব্বানী আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.