শেষপর্যন্ত কী হতে চলেছে কাশ্মীরে? অজানা আতঙ্কে প্রহর গুণছে থমথমে কাশ্মীর। সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি হতে পারে এমন রিপোর্টে চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের সভা সমাবেশ ও জামায়েত। তবে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর কোনও জায়গায় কারফিউ জারি করা হবে না। তবে রাজ্যের পরিস্থিতি কারফিউয়ের মতোই।
এরই মধ্যে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শীর্ষ স্থানীয় অন্যান্য রাজনীতিককে। অনেক স্থানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোনের সংযোগ। ফলে আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য দু’চারজনকে দেখা গেছে বাইরে। কয়েকদিন পরেই ঈদুল আযহা হলেও মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই। তাদেরকে ঘরে বন্দি অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে। উপত্যকার স্পর্শকাতর এলাকা ও শ্রীনগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী।
বেশির ভাগ পেট্রোল পাম্পে এরই মধ্যে জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। পেট্রোল পাম্পগুলোতে দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। সামনে কি ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে তা নিয়ে সবার মধ্যে উদ্বেগ, আতঙ্ক। এরই মধ্যে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী কাশ্মির উপত্যকায় উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রচলিত টেলিকম নেটওয়ার্ককে পাশ কাটিয়ে যোগাযোগের জন্য পুলিশ স্টেশনগুলোকে রোববার সরবরাহ করা হয়েছে স্যাটেলাইট ফোন।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অমরনাথ যাত্রার সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিরা সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে বলে এমন সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত সরকার। কিন্তু অন্য রিপোর্টে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মিরের জনগণের বিশেষ মর্যাদার পরিবর্তন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকার আগেভাগে সেখানে উপযুক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
আগস্ট ৫, ২০১৯ at ১৩:১৯:০৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.