এর আগে রোববার সন্ধ্যার দিকে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী, সাজ্জাদ লোনিসহ কাশ্মিরের সামনের সারির প্রধান নেতাদের গৃহবন্দি করে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। সোমবার সকালের দিকে ভারতের পার্লামেন্টে রাজ্যসভায় কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিলের প্রস্তাব পাস হয়। এই প্রস্তাব পাসের পর থেকে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়ে একের পর এক টুইট করতে থাকেন ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারত সরকারের নেয়া এই পদক্ষেপ মোকাবেলায় তার দল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে। সোমবার সকালের দিকে পার্লামেন্টে কাশ্মির সংক্রান্ত ঘোষণার পর ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত একতরফা, অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। সামনে আরো লড়াই অপেক্ষা করছে।
বিজেপির মিত্র হয়ে কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতিও এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন। গত জুনে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন পিডিপির এই নেত্রী। গত সপ্তাহে কাশ্মিরে ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনিও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন।
সংসদে বিতর্কিত প্রস্তাবনা পাস হওয়ার পর এই দিনটিকে গণতন্ত্রের কালো দিবস বলে মন্তব্য করে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিয়া ট্যুডের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ আগস্ট গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিবস। এই দিন কাশ্মিরের জনগণকে দেয়া অধিকার পার্লামেন্টের চোরের দল কেড়ে নিয়েছে।
মেহবুবা মুফতি বলেন, ভারত এত বড় একটি দেশ, তারপরও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছোট একটি রাজ্যের ভয়ে ভীত। ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে কেন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো?
টুইটারে তিনি বলেন, ‘আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের কালো দিন। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্ব প্রত্যাখ্যানের এবং ভারতের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত উল্টো ফল দিল। ৩৭০ ধারা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে ভারত সরকার নিয়েছে, তা বেআইনি ও অসাংবিধানিক এবং এই সিদ্ধান্ত ভারতকে জম্মু-কাশ্মিরে একটি দখলদার শক্তিতে পরিণত করবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.