মোবাইলে দুইটি ফেসবুক একাউন্ট থাকায় স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে নাসির উদ্দিন (২১) নামের এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছে। স্ত্রীর ওড়না গলায় ফাঁস নিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
রাজধানীর সায়েদাবাদের আকবর আবাসিক হোটেলের দোতলার ২০৫ নম্বর রুমে সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার মনিরার দাবি, নাসিরের মোবাইলে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকায় তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নাসির তার ওড়না দিয়ে বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা গেছে, মৃত নাসির কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্সের ছাত্র ছিলেন তিনি। আর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকার বাসিন্দা মনিরা নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী।
মনিরার দাবি, দেড় বছর আগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের পরিচয় হয়। এরপর থেকে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ। সর্বশেষ দেড় মাস আগে নাসিরের ২ বন্ধুকে সাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরপর ২ জনেই ২ জনের বাড়ি থেকে এসে সায়েদাবাদের ওই আবাসিক হোটেলে ভাড়ায় উঠতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই হোটেলের ২০৫ নম্বর রুমে উঠেন তারা। দুপুরে নাসিরের মোবাইল চালাচ্ছিলেন সানজিদা। এ সময় নাসিরের মোবাইলের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখে নাসিরকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাস করেন।
নাসির জানান, এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে তিনি (নাসির) রিমা নামের এক মেয়ের সঙ্গে আগে কথা বলতেন। এখন বলেন না। এরপরও সেই বিষয় নিয়ে রাগারাগি করেন সানজিদা। আর এতেই অভিমান করে নাসির সানজিদার ওড়না নিয়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে হোটেলের লোকজনের সহায়তায় দরজা খুলে দেখা যায়, বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন নাসির। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়া গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, মৃত নাসির ও মনিরা সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলায় নাসির আত্মহত্যা করে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.