সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটলেও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো ডেঙ্গু শনাক্তের বা পরীক্ষা করার কোন ব্যবস্থা নাই।
মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার বিভন্নি অঞ্চল থেকে ৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্ত হয়ে এসেছেন। দুজন মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বাকিদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।
যারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছেন তারা হলেন, মধুখালী পৌর সভার বৈকষ্ঠপুর গ্রামের কামরুল হাসানের কন্যা শুভা (২১), নওপাড়া ইউনিয়নের আমডাঙ্গা গ্রামের মহোর আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম(৩০), একই ইউনিয়নের ভুষনা গ্রামের সুলতান শেখের ছেলে সিরাজুল ইসলাম , মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী গ্রামের মোতালেব সরদারের ছেলে হারেজ সরদার(৪০)বাগাট ইউনিয়নের বাগাট গ্রামের রইচউদ্দিন শেখের ছেলে ইমরান শেখ(২৬)।
পৌরসভার পরক্ষিতপুর গ্রামের সজিবের স্ত্রী সাজেদা খাতুন (২৬) ও কোরকদি ইউনিয়নের বামুন্দী বালিয়াকান্দী গ্রামের হাবিবুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (১৭) মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার কোন কিট হাসপাতালে না থাকায় পরীক্ষা করতে পারছিনা । আমারা চাহিদা চেয়ে পাঠিয়েছি ঈদের আগেই পাবো বলে আশা করছি । ডেঙ্গু জ্বরে আক্রন্তদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করছি।
মধুখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ কবির সরদার জানান আমাদের হাসপালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ৭ জন এসেছে। ৫ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২ জন এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তের কিট পাওয়ার জন্য ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি। তবে বর্তমানে মধুখালী পৌর সদরের অবস্থিত দি পপুলার, মেডিকিউর নিউ সেবা ও দি শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা করা হচ্ছে সরকার বেধে দেওয়া ৫শ টাকায় ।
আগস্ট ৬, ২০১৯ at ১৭:৪০:১৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসসি/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.