ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে ‘জালে বন্দি’ মশাদের প্রথম ধাপে অগ্নিপরীক্ষা সম্পন্ন। ভারত থেকে আনা নতুন ওষুধে ৮০ শতাংশের বেশি মশা অজ্ঞান বা নক ডাউন হয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ওষুধ ‘পাস’ করেছে বলে মন্তব্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞদের।
তবে এ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ফলাফল অর্থাৎ প্রথম পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা পর চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে আজ বুধবার।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন প্রাঙ্গণে তিন ধরনের ওষুধের তিনটি করে নয়টি নমুনায় ওষুধের পরীক্ষা করা হয়। এসময় ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন আইই ডিসি আর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মিনতি সাহা ও কৃষি অধিদপ্তরের প্ল্যান্ট প্রটেকশন উইংয়ের যুগ্ম পরিচালক ড. আমিনুর ইসলাম।
এতে প্রথম ওষুধ ডেলটামেথ্রিন ১.২৫ শতাংশ ইউএলভি এর তিনটি খাঁচায় অজ্ঞান হওয়া বা নক ডাউন মশা ছিল শতকরা ৮৪০৯২ এবং ৮২। দ্বিতীয় ওষুধ মেলাথিয়ন ৫% আরএফভি এর তিনটি নমুনায় নক ডাউন হওয়া মশা ছিল শতকরা ৯২১০০ এবং ১০০। সবশেষ টেট্রামিথইন এর তিনটি নমুনায় নক ডাউন হওয়া মশা শতকরা ৯০১০০ ও ৮৪।
দেশদর্পণে আরও পড়ুন: দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, আতঙ্কে কাঁপছে দেশ
পরীক্ষার ফলাফল যাচাই শেষে ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, আমরা তিনভাবে মশার ওষুধ পরীক্ষা করি- ফিল্ড টেস্ট মানে আজ যা হলো, এরপর ল্যাব টেস্ট ও সবশেষ প্ল্যান্ট প্রটেকশন টেস্ট। আজকের পরীক্ষায় প্রতিটি নমুনাতেই নক ডাউন হওয়া মশার শতকরা সংখ্যা ৮০ এর উপরে। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে পাস। এরপর এই নমুনাগুলো ২৪ ঘণ্টা পর আবার দেখা হবে যে কতগুলো মারা গেলো। তাতে ফিল্ড টেস্টের সম্পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে।
নূরুজ্জামান আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের মশক নিবারণ অধিদপ্তর থেকে এ মশাগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি। তারা কেরানীগঞ্জ থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে সেখান থেকে মশার প্রজনন করেছেন।
তবে এসব মশা কোন প্রজাতির এবং এডিস মশা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মিক্সড প্রজাতির ওষুধ আছে এখানে।
অন্যদিকে এই পরীক্ষায় ওষুধ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দুই বিশেষজ্ঞ ডা. মিনতি সাহা ও ড. আমিনুর ইসলাম।
সম্প্রতি ভারতের ট্যাগ্রস নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ওষুধ কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আনা হয়। সব পরীক্ষা শেষে ওষুধ অনুমোদন পেলে দ্রুতই তা আনা হবে বলে জানান ডিএসসিসির এই কর্মকর্তা।
আগস্ট ৭, ২০১৯ at ১২:৩৪:৪৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.