সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের গরু চোরাচালানী ও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য অবৈধভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩টি কোরবানীর গরুর হাট বসাতে তৎপরতা শুরু করেছে সরকার বিরোধী ও সুবিধা ভোগী একটি মহল। এর মধ্যে জনতা বাজার ও শান্তিপুর বাজার সরকার বিরোধী ও স্বার্থান্বেষী মহল প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুল দেখিয়ে নাকের ডগায় হাট বসিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নিরব ভুমিকা পালন করছে। এনিয়ে উপজেলার জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে। অবৈধ ভাবে কোন কোরবানীর হাট বসানোর সুযোগ না দিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবার জন্য উপজেলার বৈধ ইজারাদারগন দাবী জানিয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানা যায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের জনতাবাজার ও শান্তিপুর বাজারে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে গরু চোরাচালানীদের মাধ্যমে চুরাই পথে গরু এনে চাঁদাবাজি ও অধিক মুনাফা লাভের আশায় দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা ও জেলার উধর্বতন কর্মকর্তাদের ভুল বুজিয়ে ও সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত করে ফায়দা লুটতে চাইছে একটি মহল। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে বিজিবি কঠোর নজরদারী রাখলেও সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানীরা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঐ সরকার বিরোধী স্বার্থনে¦ষী মহলের সহযোগীতায় বিভিন্ন বাজারে চোরাই গরু বিক্রি করছে। যদি ঐ তিনটি বাজারে কোরবানির গরুর হাট বসানো হয় তাহলে ভারত থেকে চুরাই পথে অবৈধভাবে আসা দুবর্ল ও রোগাক্রান্ত গরু সয়লাব হবে উপজেলায়। আর সারা বছরের জন্য এসব গরু বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে। আর রোগাক্রান্ত গরু খেয়ে মানুষ জন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবাবনা রয়েছে অন্য দিকে সরকার ও ব্যবসায়ী এবং ইজারাদাগন ক্ষতি গ্রস্থ হবে। তাই প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেবার দাবী জানান সর্বস্থরের জনসাধারন।
এছাড়াও উপজেলার বাদাঘাট বাজার ব্যবসা বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র এবং দীর্ঘ দু-যুগেও বেশী সময় ধরে গরুর হাট হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। যার ফলে এবাজারটি ইজারাদারগন প্রচুর পরিমানে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা আনে। এখন এই বাজার রেখে আরো বাজার হলে ইজারাদার গন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফলে আগামীতে আর কেউই সরকারকে অধিক রাজস্ব দিয়ে বাদাঘাট বাজারটি ইজারা আনবে না। এটি সরকারের বর একটি রাজস্ব খাত তা বিবেচনায় রাখা উচিত বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল।
দেশদর্পণে আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৫০জন
বাদাঘাট বাজারের ইজারাদার হুমায়ুন কবির ক্ষোভের সাথে জানান, বাদাঘাট বাজারটির এক কিলোমিটার দূরে আরো দুটি বাজার বসায় আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমাদের ক্ষতি করার জন্য চোরাচালানীদের সুবিধা দিয়ে নিজেদের চাঁদাবাজি আর স্বার্থ হাসিল করার জন্য মানববন্ধন আর বিভিন্ন ভাবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করছে একটি মহল আমরা এর নিন্দা জানাই। সেই সাথে অবৈধ ভাবে জনতা বাজার ও শান্তিপুর বাজার গরুর হাট বসানো বন্ধের দাবী জানাই।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, প্রতি বছরেই উপজেলায় সর্ব সাধারণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় সকল চেয়ারম্যানগনে উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার চেয়ারম্যানগন মাসিক সমন্নয় সভায় হঠাৎ করেই কোন কারন ছাড়াই সভা বয়কট করায় কোন বিষয়েই রেজুলেশনের করা হয় নি। যার জন্য এই অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর দায় দায়িত্ব চেয়ারম্যানদের কেই নিতে হব।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ জানান,এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য বলছি।
আগস্ট ৭, ২০১৯ at ১৭:২৫:৩৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জেএলভি/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.