অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রতিবাদ হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাতিল করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করারও ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
দ্য ডন এর খবরে বলা হয়, কাশ্মীরকে সাংবিধানিকভাবে দেয়া বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত। এত করে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে। পাক সেনাপ্রধান বলেছেন, কাশ্মীরবাসীর জন্য যেকোনো মাত্রায় যেতে রাজি রয়েছে পাক সেনাবাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, এতে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে। ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় সুরক্ষা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠকে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিল ও ভারতের একতরফা এবং বেআইনি পদক্ষেপ ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
দেশদর্পণে আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জাতিগত নিধন নিয়ে শঙ্কায় ইমরান খান
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান-ভারত দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ের পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএসসি।একই সঙ্গে আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস জম্মু-কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পালন করা হবে।
বৈঠকে ভারতীয় নির্মম বর্ণবাদী শাসন, নীল নকশা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ করতে সম্ভাব্য সব ধরনের কূটনৈতিক চ্যানেলকে সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ও বেসামরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সোমবার ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের একটি প্রস্তাব রাজ্যসভায় উপস্থাপন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে আনা এই প্রস্তাবে পার্লামেন্টের ২৩৯ সদস্যের মধ্যে ১২৫ জন পক্ষে ভোট দেন; বিরোধিতা করে ভোট দেন ৬১ জন।
পার্লামেন্টে ওই প্রস্তাব পাস হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারতের রাজ্যসভায় বাতিল হওয়ার পরপরই এটাকে বেআইনি বলে নিন্দা জানান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশের মাঝে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সূত্র : ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
আগস্ট ৭, ২০১৯ at ২২:৪০:৪৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.