Take a fresh look at your lifestyle.

বৈমানিক ইরম হাবিবের আকাশ ছোঁয়ার গল্প

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

স্বপ্ন ছিল ডানা মেলে ওড়ার। কিন্তু বাবা চাইতেন সরকারি চাকরি করুক মেয়ে। গবেষণা করুক। সে পথে হেঁটেও এক দিন হঠাৎ জীবনের মোড় ঘুরে যায় ৩০ বছরের কাশ্মীরি মেয়ে ইরম হাবিবের।

ছোটো বেলার ওড়ার স্বপ্ন ধরতে বিদেশ পাড়ি দেন ইরম হাবিব। ২০১৬ সালে মায়ামি থেকে বিমান চালনার প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেন তিনি। কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম মহিলা ইরম যিনি বিমান চালক হয়েছেন।

এর আগে উপত্যাকা থেকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে বাণিজ্যিক বিমান চালক হন তানভি রায়না। হরিয়ানা ইনস্টিটিউট অব সিভিল অ্যাভিয়েশন থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

গত বছর এপ্রিলে ভারতের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম স্টুডেন্ট পাইলট হিসাবে উর্ত্তীণ হন ২১ বছর বয়সী আয়েশা আজিজ। তবে, এই প্রথম কাশ্মীরের কোনও মুসলিম মেয়ে বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হতে চলেছেন।

দেহরাদূন থেকে অরণ্যবিদ্যা পড়াশুনা করে কাশ্মীরের ‘শের ই কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি’ থেকে স্নাত্তকোত্তর করেন ইরম হাবিব।

এর পর অরণ্যবিদ্যা নিয়ে দেড় বছর গবেষণাও করেন। কিন্তু কখনও ওড়ার স্বপ্ন মুছে ফেলেনি মন থেকে। এমন সময়ে একটি সুযোগে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন। মায়ামি থেকে বিমান চালনায় প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ ২০১৬ সালে। এখন দিল্লিতে বাণিজ্যিক লাইসেন্স পেতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ করেন ইরমের বাবা। তাঁদের পরিবারে বিমান চালক হওয়া ছিল আকাশকুসুম স্বপ্ন। তবে, আকাশ ছুঁতে ইরম কখনই হাল ছাড়েননি।

আমেরিকায় প্রায় ২৬০ ঘণ্টা বিমান চালনায় অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা দুই দেশের প্রশিক্ষণের প্রশংসাপত্র রয়েছে। ভারতের মাটি থেকে আকাশ ছোঁয়া এখন ইরমের সময়ের অপেক্ষা!

আগস্ট ৮, ২০১৯ at ০৪:০০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

%d bloggers like this: