Take a fresh look at your lifestyle.

স্বজনদের অভিযোগ, বন্দুকযুদ্ধ নয় শিশিরকে ধরে নিয়ে হত্যা, মামলার হুমকি

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

যশোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শিশির ঘোষকে (৩২) আগেই বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। নিহতের কাকা সুনীল ঘোষ দাবি করেন, ডিবি পুলিশ ৬ আগস্ট রাতে শিশিরকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।

আরো পড়ুন >>> গুগলে এখন ‘কাশ্মীরি গার্ল’ সার্চ, কিন্তু কেন?

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সুনীল ঘোষ নিজ ফেসবুক টাইম লাইনে এ বিষয়ে একটা স্ট্যাটাস দেন। এছাড়া এ দিন দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নিহত শিশির ঘোষ যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার নিত্য ঘোষের ছেলে।

তার কাকা সুনীল ঘোষ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মুজিব সড়ক বাইলেন ষষ্টীতলাপাড়া থেকে ডিবির এএসআই আলমগীর সাদা পোশাকে শিশিরকে আটক করেন। ওই সময় তার গলার চেইন, নগদ ৮ হাজার টাকা ও দুটো মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেন তিনি। সকালে জানতে পারি শিশির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মূলত তাকে পরিকল্পিত ভাবে কপালে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। ডিবির ওসি ও এএসআই আলমগীররের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবো।’

আরো পড়ুন >>> আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

এদিকে পুলিশ জানান, বুধবার ভোর রাতে যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া এলাকার কাজলের ইটভাটার কাছে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমা, একটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ আগস্ট রাতে শহরের শংকরপুর মুরগির ফার্ম এলাকা থেকে শিশিরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে আরও অস্ত্র ও বোমা থাকার কথা স্বীকার করলে ভোররাতে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পুলিশ। ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার মাহিদিয়ার কাজলের ইটভাটা এলাকায় পৌঁছালে শিশিরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় শিশির গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন >>> স্বামীর বন্ধুর জন্য গর্ভ ভাড়া দিলেন স্ত্রী!

তিনি আরও জানান, শিশির ঘোষ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।

শিশিরের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেইন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। শিশিরের স্বজনদের মামলার হুমকি সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।

আগস্ট ৮, ২০১৯ at ০৬:৪০:৪৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

%d bloggers like this: