Take a fresh look at your lifestyle.

শত কোটি টাকার মালিক বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

ঘুষ নিয়ে পণ্য খালাসের অভিযোগ, অনুসন্ধানে দুদক 

ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের এক সভায় কমিশনার বেলালের শতকোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজীকে।

দুদক সূত্র জানায়, বেলাল হোসেন নিজের পাশাপাশি স্ত্রী, ভাই-বোন ও শ্যালকের নামেও সম্পদ গড়েছেন।

আরো পড়ুন >>> স্বজনদের অভিযোগ, বন্দুকযুদ্ধ নয় শিশিরকে ধরে নিয়ে হত্যা, মামলার হুমকি

বেনাপোল বন্দরে দায়িত্ব পালনকালে সম্প্রতি ১১ লাখ টাকা ডিউটি আদায় করে মালামালসহ সাতটি ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কাউসার আলম পাটোয়ারি ওই মালামাল জব্দ করেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই মালামালের ডিউটি ছিল ৮০ লাখ টাকা। মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে বেলাল হোসেন চৌধুরী ওই সাতটি ট্রাক মালামালসহ খালাস করে দেন। এভাবে ওই বন্দর দিয়ে ঘুষের মাধ্যমে পণ্য খালাস দিয়ে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বেলাল।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্নীতির টাকায় বেলাল নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বারিধারায় এফ ব্লকে ১২ নম্বর প্লটে পাঁচ কাঠা জমির ওপর পাঁচতলা বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা।

আরো পড়ুন >>> পুলিশ পরিচয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ভবনের পাশে বেস্ট উইশেস কম্পানি থেকে বেলালের স্ত্রীর নামে কেনা চার কোটি টাকা মূল্যের চার হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। বারিধারায় ডি ব্লকে পাঁচ কাঠা এবং পূর্বাচলে ১০ কাঠা আবাসিক প্লট। যমুনা ফিউচার পার্ক ও অন্য আরেকটি মার্কেটে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার চারটি দোকান। গাজীপুরে ভাইয়ের নামে সফিনা গার্মেন্ট, আশুলিয়ায় ১০ বিঘা জমি এবং দেশ থেকে টাকা পাচার করে কানাডায় সুরম্য অট্টালিকা ক্রয়। কানাডার সেই বাড়িতে তাঁর ছেলে-মেয়েরা বাস করে। এ ছাড়া বেলালের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ৫০ বিঘা জমি রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে পণ্য খালাস করার একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে এসেছে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে বেনাপোল কাস্টমসের এ কমিশনারের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। গতকাল কমিশনের সভায় অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজীকে।

দুদকের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, বেলাল হোসেন চৌধুরী নিজ নামের পাশাপাশি স্ত্রী ও ভাইয়ের নামেও সম্পদ গড়েছেন। জব্দ করা পণ্য ঘুষ নিয়ে খালাস দিয়ে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, বেলাল চৌধুরীর রাজধানীর বসুন্ধরার এফ ব্লকে ১২ নম্বর প্লটে পাঁচ কাঠা জমির ওপর পঞ্চম তলা বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। নিউ ইস্কাটনে তার স্ত্রীর নামে আছে ৪ কোটি টাকা মূল্যের চার হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। বসুন্ধরার ডি ব্লকে পাঁচ কাঠা ও পূর্বাচলে ১০ কাঠার আবাসিক প্লট। বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্কে আছে চারটি দোকান। এছাড়া বেলালের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে ৫০ বিঘা জমি, আশুলিয়ায় ১০ বিঘা জমি ও গাজীপুরে বেলালের ভাইয়ের নামে একটি গার্মেন্টস কারখানার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেলাল হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দেশ দর্পণ’কে জানান, অভিযোগটি ভিত্তিহীন। একটি মহল অনৈতিক সুবিধা নিতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে এসব ভুয়া অভিযোগ করছেন।

আগস্ট ৮, ২০১৯ at ০৬:২১:৪৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

%d bloggers like this: