যশোরের কেশবপুরে দুঃস্থ্য শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিশিষ্ট বায়োসেন্সর ও পরিবেশ গবেষক ড. এম এ কাশেম (জাপান) কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। দুঃস্থ্য শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হারুনার রশিদ বুলবুলের সভাপতিত্বে শহরের আমার ক্যাফে রেসটুটেন্টে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত বায়োসেন্সর ও পরিবেশ গবেষক ড. এম এ কাশেম (জাপান)। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রকৌশলী হাসান আলমগীর, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র দত্ত, নির্বাহী সদস্য উদয় সিংহ, কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান, অধ্যক্ষ অসীম ঘোষ, মানবাধিকার কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ও সাংবাদিক রুহুল কুদ্দুস ।
উল্লেখ্য ড. এম এ কাশেম, বিশিষ্ট বায়োসেন্সর ও পরিবেশ গবেষক। তিনি যশোর জোলার কেশবপুর উপজেলার আওয়ালগাঁতী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভারণমেন্টাল সায়েন্স এ অনার্স (প্রথম শ্রেণী) এবং এম এস (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, ডিসটিংশন সহ) ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
সারাবিশ্ব আজ পরিবেশ সুরক্ষায় দারুণ ভাবে সচেতন কিন্তু পরিবেশীয় গুণাগুন নির্ণয়ের সহজ, সমন্বিত, স্বল্প খরচযুক্ত অথবা পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক পদ্ধতি খুবই সীমিত।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি দীর্ঘ চার বছর ধরে গবেষণা করে মাইক্রোঅরগানিজ্ম বা অনুজীব দিয়ে অপটিক্যাল বায়োসেন্সর চিপ্ তৈরী করলেন বাংলাদেশের গবেষক ড. কাশেম। তিনি জাপানের তয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে (পিএইচডি) এ গবেষণা টি পরিচালনা করেন। তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাইক্রোঅরগানিজ্ম বা অনুজীবকে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে (ইমমোবিলাইজড্) আবদ্ধ করে তৈরী করা হয় বায়োফিল্ম, আর এ বায়োফিল্ম কে অপটিক্যাল অক্সিজেন সেন্সরের সাথে সংযুক্ত করে, জবংঢ়রৎধঃরড়হ ধহফ চযড়ঃড়ংুহঃযবংরং জবধপঃরড়হ কে কাজে লাগিয়ে পানিতে বিদ্যমান বায়োক্যামিক্যাল অক্সিজেন ডেমান্ড (ইঙউ) হেবিমেটাল্স (ক্যাডমিয়াম, মার্কারী, লেড, কপার, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট, জিংক, সিলভার, আর্সেনিক ইত্যাদি) এবং পোষ্টিসাইড্স নির্ণয়ে সফলতা অর্জন করেছেন।
দেশদর্পণে আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বর্তমানে তিনি চিপ্টিকে স্মার্ট ফোনের সাথে সংযুক্ত করে কিভাবে আরো সহজ ও অত্যাধুনিক করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি পূর্বে রান্নাঘরের উর্চ্ছিষ্ট জৈব পদার্ধ থেকে বায়োগ্যাস, দূষিত পানি পরিশোধনের বায়োলোজিক্যাল পদ্ধতি, স্যানিটারী ল্যান্ড ফিলের পরিবেশীয় প্রবাভসমূহ নিরুপনের সহজ পদ্ধতি নিয়েও গবেষণা করেছেন।
তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিসমূহ বাংলাদেশে প্রয়োগের সুযোগ হলে, পরিবেশীয় দূষণ নির্ণয়ে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় অথবা উন্নয়নে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বলে তিনি মনে করেন।
কর্মজীবনে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক, বিভিন্ন ডেভ্লপমেন্ট অর্গানাইজেশনের কনসালটেন্ট এবং জাপানের একটি কোম্পানীতে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও বর্তমান তিনি দুঃস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার সার্বিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আগস্ট ৮, ২০১৯ at ২১:৫৭:৩৯(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআরএস/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.