Take a fresh look at your lifestyle.

তাকবিরে তাশরিক এর গুরুত্বপূর্ণ মাসায়লা এবং তাৎর্পয

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

তাকবিরে তাশরিক হলো-

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’
অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’ এটাতে তাকবিরে তাশরিক বলে।
সহিহ বোখারি শরিফের অন্যতম ভাষ্যকার ইমাম বদরুদ্দিন আল-আইনি (রহ.) এ সম্পর্কে বলেন, ‘সাইয়্যেদুনা হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়ে স্বীয়পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) যখন জবেহ করতে পূর্ণ প্রস্তুত হলেন, তখন হজরত জিবরাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে হাবিলের কোরবানি করা দুম্বাটি নিয়ে রওনা হলেন। তার সন্দেহ হচ্ছিল, হয়তো তিনি জমিনে পৌঁছানোর আগেই হজরত ইবরাহিম (আ.) জবেহের কাজ সম্পন্ন করে ফেলবেন। তাই তিনি আকাশ থেকেই উচ্চ স্বরে আওয়াজ দিয়ে বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’। হজরত ইবরাহিম (আ.) তার কণ্ঠ শুনে আকাশপানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলেন, হজরত জিবরাইল (আ.)-এর ছেলে ইসমাইলের পরিবর্তে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন। ফলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার।’ বাবার মুখে আল্লাহর একত্ববাদ ও বড়ত্বের বাণী শ্রবণে করে ছেলে ইসমাইল (আ.) ও আল্লাহর জালাল ও হামদ পেশ করে বললেন, ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল্ হামদ।’ একজন ফেরেশতা ও একজন নবী এবং একজন ভাবী নবী- এই মহান ব্যক্তিত্রয়ের পবিত্র কালামসমৃদ্ধ এ আমলটুকু আল্লাহপাকের দরবারে এতটাই কবুল হয়ে যায় যে, কিয়ামত পর্যন্ত তা সব মুসলিম উম্মাহর কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকবে বলে আল্লাহ ঠিক করেন।

১৪৪০ হিজরির জিলহজ মাস হিসেবে এ বছর (২০১৯) আগামী ১১ আগস্ট রোববার ফজরের নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর পড়ার মাধ্যমে তা শেষ হবে।

মহান আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের স্বীকৃতি ও প্রশংসা ঘোষণাই হলো তাকবিরে তাশরিক। আরবি (হিজরি) বছরের শেষ মাস জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ, মুকিম-মুসাফির, গ্রামবাসী-শহরবাসী সবার জন্য একাকি কিংবা জামাআতে নামাজ ফরজ নামাজ আদায় করার পর একবার তাকবিরে তাশরিক আদায় করা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তাই উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ওয়াজিব ভিত্তিতে একবার তাকবিরে তাশরিক পড়বেন।

প্রত্যেক ওয়াক্তে তাকবিরে তাশরিক একবার পড়া ওয়াজিব আর ৩ বার পড়া মোস্তাহাব। এ ৫ দিনে মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক পড়তে হয়। এ হুকুম প্রত্যেক আরবি বছরের উল্লেখিথ ৫ দিনের জন্যই প্রযোজ্য। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পাঠ করে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসার ভাগিদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আগস্ট ১০, ২০১৯ at ০১:৩৫:৪৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/কেএ

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

%d bloggers like this: