লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে চিকিৎসকের অবহেলায় নাজমা আক্তার (১৯) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ। নিহত নাজমা শহরের পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁনমিয়া পাটোয়ারী বাড়ির সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
রায়পুর মডার্ন হাসপাতালে নাজমার অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নেয়ার পথে নাজমার মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে নাজমার বাবার বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহতের স্বামী শাহীন আলম জানান, পেটব্যথা হলে নাজমাকে বুধবার বিকেলে রায়পুর মডার্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের ডাক্তার বাহারুল আলম নাজমাকে দেখে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইউরিন পরীক্ষা করে।
ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলেন, রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইডের সমস্যা। তাকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে রাত ১০টায় নাজমার অস্ত্রোপচার করেন বাহারুল। রাত ১১টার পর নাজমার জ্ঞান ফিরে অসুস্থ বোধ করলে স্বজনরা ডাক্তার বাহারুলকে হাসপাতালে আসতে বলেন। রাতে হাসপাতালে এলে অতিরিক্ত ফি দেয়ার কথা জানান বাহারুল। এতেও স্বজনরা রাজি হন।
কিন্তু ডাক্তার বাহারুল হাসপাতালে আর আসেননি। পরে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে রোগীকে ঢাকায় নেয়ার কথা বলে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নেয়ার পথে নাজমা মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ার পারভেজ সুমন বলেন, নাজমা আক্তারের অস্ত্রোপচারের জন্য অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার পরই প্রেশার কমে যায়। রোগীর আগে থেকেই হার্টের সমস্যা ছিল। রোগীর বয়স কম হওয়ায় ডাক্তার ইসিজি ও প্রেশার পরীক্ষা করেনি।
অভিযুক্ত ডাক্তার বাহারুল মুঠোফোনে জানান, কোনো অবহেলা করা হয়নি। রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইডের জন্য সব পরীক্ষাই করা হয়েছে। রোগীর হার্টের সমস্যা থাকায় সম্ভবত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। কোনো মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়।
এদিকে ২৩ জুলাই রায়পুর মাতৃছায়া হাসপাতালে স্ট্রোকের রোগীকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা দেয়ায় সোনাপুর ইউপির আলী হায়দার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করে। এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম শুক্রবার রায়পুরে আসে।
আগস্ট ১০, ২০১৯ at ১৪:০৪:২৪ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.