এই ঈদে কোরবানির কারণে একটু বেশিই ব্যস্ত থাকতে হয় , কিন্তু মাথায় রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যপারটাও। ঈদ মানেই আনন্দ এই আনন্দে যাতে অপরিচ্ছন্নতার কারণে ভাঁটা না পড়ে তা খেয়াল রাখুন। কোরবানির ঈদে রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায়। পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে নিজেদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং প্রতিবেশীদেরও সচেতন করতে হবে। কোরবানির আবর্জনা এখানে-সেখানে ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন অথবা বর্জ্য রাখার ব্যাগে ভরে ময়লা সংগ্রহকারীদের দিয়ে দিন। ময়লা ফেলে রাখলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, পরিবেশ দূষিত করে এবং জীবাণু ছড়ায়। রক্ত গড়িয়ে যেন রাস্তায় না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আর নিজের জন্য ও একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন হাতের কাছেই রাখুন এন্টিস্যাপটিক দ্রব্য।
ঈদের দিন কী খাবার তৈরি করবেন তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন গৃহিণীরা। পাশাপাশি থাকে কোরবানির মাংস গুছিয়ে রাখার পরে ঘর পরিষ্কার করার ব্যস্ততা। চলুন এবার জেনে নিই কোরবানির পরে ঘর এবং কোরবানি দেয়ার স্থান পরিষ্কার রাখার কিছু টিপস :
মাংস ভাগ বন্টনের সময় অবশ্যই গ্লাভস পড়ে নিন। এতে আপনার হাত অন্তত জীবাণু মুক্ত থাকবে। গ্লাভস পড়তে না চাইলে অবশ্যই প্রতিবার মাংস নাড়া পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। মাংস বন্টনের সময়, অনেক সময় কাপড়ে, মাটিতে বা চোখে মুখে রক্তের ছিটা পড়তে পারে। দেরি না করে যতটা দ্রুত সম্ভব ঘরের মেঝে ডেটল পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কখনোই খাওয়া যাবে না। কোরবানির সময় রান্নাঘরে কাঁচা মাংসের স্তূপ জমে যায়। মেঝেতে রক্ত লেগে যায়। চেষ্টা করুন প্লাস্টিকের শিট বিছিয়ে কাজটা করার। ঘরে ছোট শিশু থাকতে তারা যেন এগুলোর সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মাংস গুছিয়ে ফেলার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘর পরিষ্কার করে ফেলুন। কোনো ময়লা রান্নাঘরে জমতে দেয়া উচিত হবে না। মেঝে পরিষ্কার করতে কুসুম গরম পানি এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। ঈদের দিন গরমও বেশি থাকে ইচ্ছে করলে মাংস ভাগ করা পর আরেকবার গোসল করে নিতে পারেন। স্বস্থি পাবেন।
দেশদর্পণে আরও পড়ুন: বেশি বেশি চকোলেট খান আর দেখুন ম্যাজিক
মাংস সংরক্ষন ও রান্নাবান্না :
মাংস ফ্রিজে রাখার আগে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিন। রক্ত বা পানি সহ ফ্রিজে রাখবেন না
ফ্রিজে এক টুকরো লেবু রেখে দিলে মাংসের গন্ধ ফ্রিজের চারিদিকে ছড়াবে না।
মাংস রান্নার আগে অবশ্যই তা খুব ভালো করে ধুয়ে নিন।
আধা সেদ্ধ মাংস কখনোই খাবেন না। গরু বা খাসির মাংস অন্তত ৪৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে রান্না করুন।
গরুর মাংস একসাথে অবশ্যই বেশি খাবেন না। এতে আপনি অসুস্ত হয়ে যেতে পারেন।
আগস্ট ১০, ২০১৯ at ২২:৪২:৪৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/কেএ/এসজে
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.