কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জেরে গত রোববার (৪ আগস্ট) থেকেই মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রাখে মোদী সরকার। টেলিফোন, মোবাইল, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ করা হয় জনসমাগম। অঞ্চলটির অন্তত তিন শতাধিক শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মীকে আটক করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে চল্লিশ হাজারের বেশি সেনা সদস্য।
সপ্তাহখানেক অবরুদ্ধ থাকার পর গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। আর প্রথমবার সুযোগ পেয়েই এদিন সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন ক্ষুব্ধ কাশ্মিরবাসী। সকালের দিকে লোকজন কিছুটা কম থাকলেও জুমার নামাজের পর সড়কে রীতিমতো ঢল নামে তাদের।
রয়টার্সের তথ্যমতে, এদিন কাশ্মিরের সড়কে বিক্ষোভ করেছে অন্তত দশ হাজার মানুষ। এসময় স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনী। জবাবে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা।
ঈদের দিন এ পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে আশঙ্কায় রোববার (১১ আগস্ট) সেখানে আবারও কারফিউ জারি করা হয়েছে। মাইকিং করে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। শহরটিতে বিক্ষোভের ঐতিহ্যবাহী জায়গা ওল্ড কোয়ার্টারে যাওয়ার পথসহ শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি সড়কে চেকপয়েন্ট বসিয়েছে পুলিশ।
তবে, এসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগস্ট ১২, ২০১৯ at ০২:২৬:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বিকে/তআ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.