বাবার বাসার কুরবানির মাংস স্বামীর বাসায় নিয়ে রেঁধে খাওয়া হলো না রিমভীর। ফেলে রেখে গেল আড়াই বছরের ছেলে ফারহানকে। আহত স্বামী বাবুল শেখ চোখের সামনে তার স্ত্রীকে হারিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ।
স্বামী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ করতে উত্তর বাড্ডায় বাবা মায়ের বাসায় এসেছিলেন রিমভী আক্তার। কুরবানির মাংশ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে ঈদ আনন্দে মেতে ছিলেন।
স্বামীর বাসায় যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন রাতে। এশার নামাজের পর বাসার গলি থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হওয়ার জন্য প্রগতি স্মরণীর রাস্তার মাঝখানের জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিমভী। সঙ্গে ছিলেন স্বামী বাবুল শেখ আর ছেলে ফারহান।
ঈদের ছুটিতে ফাকা রাস্তায় দ্রুত গতিতে চলা একটি পিকআপ ভ্যান হঠাৎ করে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় রিমভীসহ তিনজনকেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রিনভীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেখানকার মর্গে পড়ে আছে রিমভীর নিথর দেহ। অথচ রিমভীর রক্তে ভেজা ওড়নাটা এখনো পড়ে আছে রাস্তায়।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি ফিরে এসেছেন বাবুল। ঈদের দিনে এভাবে স্ত্রীকে চলে যেতে দেখে নিজেকে কোনোভাবেই বোঝাতে পারছেন না তিনি। রিমভীর আড়াই বছরের ছেলে ফারহানও আহত।
নিষ্পলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে, তার একটাই কথা, মা না এলে খাবে না কিছুই। অথচ ফারহান এখনো বুঝতে পারছে না যে, তার মা আর কখনোই ফিরে আসবে না।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.