চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত ধর্ষক লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো প্রতিবেশী লালটু। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য লালটুকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা করা হয়। অতপর লালটু মামলা তুলে নিতে বাদীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী দিতে থাকে।
একই সাথে মামলা না তুলে নিলে সে তার মেয়েকে প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষন করবে বলেও হুমকী প্রদান করে। এরপর শনিবার রাতে সুযোগ বুঝে তাদের ঘরে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে মেয়েকে তুলে পাশের শ্বাশান ঘাটের বাঁশ বাগানে নিয়ে গণধর্ষন করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন :
লক্ষ্মীপুরে মাছের পোনা বিতরণ
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, তাদের মেয়েকে আবাসনে বসবাসকারী নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লালটু (৩৫), মৃত সভা ঘোরামীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজু (৩০) জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষন করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি লালটুকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, ওই ছাত্রীকে ১ মাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী মাশীলা খাতুন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতার বাবা এ প্রতিবেদককে জানান, অভিযুক্তরা তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালটু, রাজু ও শরফিুল লাঠিসোটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদেরকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদের দুই জনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একটি শ্বশান ঘাটের কাছে বাঁশ বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা ভোরের দিকে মেয়েকে উদ্ধার করি।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, গণধর্ষনে যারা জড়িত তাদের ইতোমধ্যেই গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে এবং বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা দ্রুত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিক্যালের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। একই সাথে এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবার মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি লালটুকে গ্রেফতার করি।
আগস্ট ১৯, ২০১৯ at ১০:৫০:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিআর/তআ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.