ঘুষ দূর্ণীতিতে সহযোগীতা না করায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের অডিট অফিসার সাবেক বেনাপোল ওয়ারহাউজের সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ ঘটনায় যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বেনাপোল সিনিযর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৯ জনকে আসামী করেেএ মামলাটি করেছেন। আদালতের সিনিযর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুদ্দীন হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ১৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
এ মামলায় আসামী করা হয়েছে বেনাপোল বন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট আবু মুসা মোহম্মদ তারেক, বেনাপোল বন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট রুকুনুজ্জামান আবেদীন, বেনাপোল বন্দরের ফায়ার সহকারী পরিদর্শক জালালুর রহমান শিকদার, বেনাপোল বন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট মঈনুল ইসলাম, বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মনির হোসেন মজুমদার, বেনাপোল বন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট জিল্লুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের ওয়্যারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ বাবুল, বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক জাবেদী বিল্লাহ, বেনাপোল বন্দরের কম্পিউটার অপারেটর মাহবুবুর রহমান।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলাম বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের অডিট অফিসার হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। ২০১৬ সাল থেকে মারধরের ঘটনা গত ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বেনাপোল ওয়ারহাউজের ৩৪ নং শেডে সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। এসময়ে অভিযুক্ত আসামীরা ঘুষ দূর্ণীতিতে সহযোগীতা না করায় বে-আইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে লাঠি-সোটা, রামদা, লোহার রড ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ব্যারাকে ঢুকে আর্তকিতভাবে মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলামের উপর হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা নগদ তিন লক্ষ টাকা, একটি ল্যাপটপ, চারটি স্বর্ণের আঙটি, একটি ফ্রিজসহ প্রয়োজনী ডকুমেন্ট লুট করে নিয়ে যায়।
বাদী গুরুত্ব জখম হয়ে দীর্ঘ দিন ঢাকার ন্যাশন্যাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাদী মোহাম্মদ আশ্রাফুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসে ছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ আশানুরুপ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় মামলা করেছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
আগস্ট ২২, ২০১৯ at ১৯:১৪:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মোআ/তআ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.