গাড়ি আমদানিতে ২ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান মুসা বিন শমশেরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদুক।
কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনা গাড়ি জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধন করে ব্যবহারের অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরেুদ্ধে। মুসার বিরুদ্ধে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করার অভিযোগও রয়েছে, যার অনুসন্ধান করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
বৃহস্পতবিার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, মামলায় মুসা বিন শমসেরের সাথে আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান আটক
তারা হলেন- বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আইয়ুব আনছারী (বর্তমানে ঝালকাঠিতে কর্মরত), গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো ডিফাইন ও ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান, মুসা বিন শমসেরের শ্যালক মো. ফারুক-উজ-জামান এবং কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় গাড়ি আনা ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফরিদ নাবির।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের এই ব্যবসায়ী।
একটি দৈনিকে সুইস ব্যাংকে মুসা বিন শমসেরের ৫১ হাজার কোটি টাকা থাকার খবর ছাপা হয়েছিল। তবে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই বছর আগে মুসা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশে বসে কেউ এত অর্থ উপার্জন করতে পারবে না।
অক্টোবর ১৭, ২০১৯ at ০৭:০৭:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আস/ওমি
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.