পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আসা চীনা নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে আরো কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন ধরনের নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে ‘বৈশ্বিক সতর্কতা জারি’ করায় বাংলাদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর উপলক্ষে গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকরা যেন এখন চীনে না যান সে জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে যারা চীন থেকে আসেন, তাদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। চীন থেকে আসতে হলে সেখানের বাংলাদেশ মিশন থেকে ভিসা নিয়ে আসতে হবে। ভিসা আবেদনের সঙ্গে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে হবে। তবে এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো জানান, নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চীনা দূতাবাসেরও কোনো আপত্তি নেই। আমরা এই মুহূর্তে চীন ও বাংলাদেশের যাতায়াত কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছি। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে চীনা নাগরিকরা কাজ করছেন। চীন থেকে নতুন লোক নিয়োগ না দিলে ভালো হয় বলেও আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। এই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা থাকাকালে, বিশেষ করে আগামী এক মাসের মধ্যে ঢাকায় থাকা কোনো চীনা নাগরিক যেন ছুটিতে দেশে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেও অনুরোধ জানিয়েছি।
অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ থাকলে দুই দেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে। পরিস্থিতির ব্যাপারেও সবাই সচেতন। ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। এরইমধ্যে চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফেরত এনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান। উল্লেখ্য ‘অন-অ্যারাইভাল’ ভিসা সুবিধার আওতায় এতদিন চীনা নাগরিকরা বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরে নেমেই ভিসা নিতে পারতেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.