নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন না পেলে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রামীণফোনের আর কোনো সিম বাজারে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের নব নিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনের প্রথম বাংলাদেশি সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আজ প্রথম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে আজমান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের হাতে কোনও সিম নেই। খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু সিম রয়েছে। সেগুলো শেষ হয়ে গেলে আর সিম পাওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘সিম রিসাইকেলের (পুরনো বন্ধ সিম নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিক্রির জন্য রেডি করা) জন্য বিটিআরসির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া, সিম নষ্ট হয়ে গেলে রিপ্লেসমেন্টের জন্যও সিম পাওয়া যাবে না।’ সিম রিসাইকেলের জন্য এরই মধ্যে ৩০ লাখ সিম জমা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অপারেটরটির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘সরকারের বকেয়া পাওনা নিয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে যে সংকট চলছে, তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে তার দৃশ্যমান উন্নতি হবে।’
যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসেবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে সহজ ও শক্তিশালী সমাধান উদ্ভাবন করে ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন ইয়াসির আজমান। বর্তমানে গ্রাহকরা প্রত্যাশা করেন গ্রামীণফোনের কাছ থেকে আরও কার্যকর যোগাযোগ সেবা, যা তাদের জীবন আরও সহজ করে তুলবে। তিনি জানান, ‘গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির এই হার গ্রামীণফোনের জন্য একদিকে অনুপ্রেরণামূলক, অন্যদিকে অনেক বড় দায়িত্ব।’
আধুনিকায়নের পথে নিজেদের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ইয়াসির আজমান আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পণ্য ও সেবা আধুনিকায়ন করছে গ্রামীণফোন। বাংলাদেশের আইন, মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রামীণফোন।’ তিনি আরও বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি নতুন সিমের অনুমতি না দিলে গ্রামীণফোন বাজারে সিম সংকটে পড়বে।’ বাজারে প্রতিদিন গ্রামীণফোনের ৫০ হাজার সিমের চাহিদা আছে বলে তিনি জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.