কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৩ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তবে আহতদের সবাই শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ ৯জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার(৩ফেব্রুয়ারী) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের ই ও সি ব্লক এলাকায় গুলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
শরণার্থী শিবিরের সাধারন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাতে জকির ও আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল ডাকাত ই ব্লকের কাপড় ব্যবসায়ী নুর নবীর কাছে চাঁদা দাবী করতে এলে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় সাধারন রোহিঙ্গারা ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে জকির গ্রুপের প্রতিপক্ষ সালমান শাহ গ্রুপ ও খাইরুল গ্রুপ সাধারন রোহিঙ্গাদের সাথে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জকির গ্রুপ এলোপাতারী গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে প্রায় ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
আহতদের নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বাকী ৪ জন গনস্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব-পুলিশসহ যৌথ টহলদল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গারা হচ্ছেন ই ব্লকের শওকত (১৯), মোঃ হাসান (২৮), জিয়াদুল (১২), সি ব্লকের বশির আহমেদ(৩২) মোঃ হোসেন(২৩), ফারুক(৮), জুবায়ের (১৮), বি ব্লকের আবুল হোসেন(২২) ক্যাম্প-২৬ এ-১ এর আব্দুল গনি(২৪)
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.