বিগত কয়েক মাসে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোতে এ পর্যন্ত ঢাকার চিত্রজগতে সংযোজিত হয়েছেন পাঁচ জন নতুন নায়িকা। সাইফ চন্দন পরিচালিত আব্বাস সিনেমার মাধ্যেমে চলচ্চিত্রে এসেছেন সূচনা আজাদ। কিন্তু ব্যবসা সফল এ ছবির পরিচালক পরে নতুন ছবি শুরু করলেও সূচনা আজাদকে আর নেননি। তার ইউনিট থেকে বাদ পড়েছেন নায়ক নিরবও।
সূচনা আজাদ ইতোমধ্যে আরেকটি ছবির কাজ শেষ করেছেন। সেটির এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়নি। সূচনা আজাদ বলেছেন, তিনি চলচ্চিত্রেই ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান। শাহ আলম মন্ডল পরিচালিত ডনগিরি ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে এসেছেন এমিয়া এমি। কিন্তু ডনগিরির পর তার আর কোনো বিচরণ লক্ষ্য করা যায়নি। সেলফোন বা যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে তিনি চলে গেছেন সকলের আড়ালে। মাঝেমধ্যে কেবল ফেসবুকে তার ছবি দেখা যায়।
তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ন’ডরাই ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। সার্ফিং বিষয় নিয়ে এ ছবিটি নির্মিত হলেও সীমিত সংখ্যক দর্শকই ছবিটি দেখেছেন। সুতরাং নায়িকাও তেমন একটা নিজেকে প্রসারিত করতে পারেননি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ভালো ছবি হলে করবেন। না হলে করবেন না, এমনটাই তার মনোভাব। আয়নাবাজিতে নাবিলাও এসেছিলেন। নিজস্ব গন্ডীতে সীমাবদ্ধ থাকা এই নায়িকাকে নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি নির্মাতাদের মধ্যে। সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়াও নিজেকে প্রসারিত করছেন না। এর আগেও তিনি অনন্য মামুনের ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু ব্যাপক দর্শকের কাছে পৌছাতে পারেননি। সেটা তিনি চানও না।
তিনি মনে করেন, তিনি আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে পরিচিত। সেটা ধরে রাখতে পারলেই হয়। অর্চিতা যদি সেটাই মনে করেন তাহলে দেশের চাইতে তার অভিনীত ছবিগুলো আন্তর্জাতিক বলয়েই মুক্তি পাওয়া উচিত। এম সাখাওয়াৎ হোসেন পরিচালিত ও মিস ইউনিভার্সিটি কানিজ লিয়া অভিনীত জয়নগরের জমিদার ছবিটি কাঠবিড়ালীর আগের সপ্তাহে মুক্তি পায়। কানিজ লিয়া চেয়েছেন তার ছবিটি বেশি দর্শক দেখুক এবং তিনি চলচ্চিত্র অভিনয় পেশায় থেকে যেতে চান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.