ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে রান সংগ্রহ করেছে ৫৪ উইকেট। সিলেটের ওয়ানডে এ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের প্রথম দু’টি উইকেট তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তৃতীয় উইকেট পান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই ওপেনিং বোলার মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিনের বল পড়তেই পারেন নি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ওভারেই জিম্বাবুয়ের ওপেনার কামহুনুকামউইকে তুলে নেন সাইফুদ্দিন। জিম্বাবুয়ের রান তখন কেবল এক!
এর আগে, ছন্দে থাকলে লিটন দাস কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠেন তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পেল জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের বোলারদের নাকের জল চোখের জল এক করে লিটন তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। লিটনের আত্নবিশ্বাসী ব্যাটং দেখে মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেই ফেলবেন! দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্র্যাম্পের শিকার হয়ে ১২৬ করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন তিনি। শেষদিকে মিথুনের দ্রুতগতির ফিফটিতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩২১ রানের পাহাড়, হারিয়েছে ৬ উইকেট।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এর দায় ওপেনার তামিম ইকবালের। ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি হোক বা ওয়ানডে, তামিম বোধহয় ভুলেই গেছেন ক্রিকেটে স্ট্রাইকরেট বলে একটা জিনিস আছে। আজও তিনি ৪৩ বলে ২৪ রান করেছেন মাত্র ৫৫ স্ট্রাইকরেটে। এই স্ট্রাইকরেট শুধু টেস্টের জন্যেই মানানসই, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এ আর চলে না। এছাড়াও তামিম নিশ্চিত আউট জেনেও রিভিউ নিয়ে তা নষ্ট করেছেন। ফলশ্রুতিতে পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ভুল সিদ্ধান্তে আউটের শিকার হলেও আর রিভিউ নিতে পারেন নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সাথে একসময়ের ড্যাশিং ওপেনার তামিম আর মানিয়ে নিতে পারছেন না।
দেশদর্পণ/আহা/ভোকা/আ
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.