ইরানে করোনাভাইরাসে মারা গেলেন আরও ১৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জন, যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চ। এছাড়া, ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ইরানের সব প্রদেশের রাজধানীতে জুমার নামাজ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে তেহরানসহ বেশ কিছু এলাকার মসজিদে জুমার নামাজ বাতিল করেছিল কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
গত সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা পরিষদের শীর্ষ সদস্য মোহাম্মদ মীর মোহাম্মদী (৭০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে প্রাণ হারিয়েছেন ভ্যাটিকান সিটিতে ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাদি খোসরো শাহী। আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরছিও।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, ইরান করোনা আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করছে না। গতমাসে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দাবি করেছিল, ইরানে দুই শতাধিক মানুষ করোনায় মারা গেছেন। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।
ইরানে করোনাভাইরাসে মাত্র আটজনের মৃত্যুর পরপরই মহামারি আতঙ্কে প্রতিবেশী তিন দেশ—আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পরে একই কাজ করেছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও।
ইরানের করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। সংস্থাটির ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইকেল রায়ানের মতে, অন্য দেশের তুলনায় ইরানেরই মেডিকেল উপকরণ সংকট সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে হঠাৎ করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়াকে তিনি ‘আগুন নিভে যাওয়ার আগে দপ করে জ্বলে ওঠার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.