করোনা শনাক্তের নমুনা সংগ্রহের আগেই যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে’ থাকা ১২ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে সে মারা গেছে। এরপর তার স্বজনদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা শনাক্তে তার নমুনা সোমবার সকালে যশোরে আইইডিসিআরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সংগ্রহ করার কথা ছিল। রবিবার বিকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী কিশোরীর নাম কাকলী (১২)। বাবার নাম কালাম হোসেন। তাদের বাড়ি যশোর সদরের এনায়েতপুরে গ্রামে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির সিম্পটম সম্পর্কে আইইডিসিআরে জানানো হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনার কারণে তার মৃত্যু হয়নি।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, রবিবার বিকালে মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার সর্দি, কাশি ছিল। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে যশোরে আইইডিসিআরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভোর ৪টার দিকে মেয়েটি মারা যাওয়ার পর আইইডিসিআরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়েটির সিম্পটমের বিষয়ে আলোচনা করেন ডাক্তাররা। পরে তাদের জানানো হয়, করোনার কারণে সে মারা যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন (সিএস) শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদের জানিয়েছেন, স্যাম্পল কালেকশনের কোনও দরকার নেই। শিশুটির মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা নেই জানানোর পর তিনি বলেন, ‘তাদের খুঁজে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। না পাওয়া গেলে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবো।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.