Take a fresh look at your lifestyle.

স্বামী, সন্তানসহ বিদ্যালয় ভবনেই দুই নারী শিক্ষক পরিবারের বসবাস!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

করোনাকালে পাঠদান বন্ধের সুযোগে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সংসার পেতে বসেছেন দুজন শিক্ষক। পুরো ফ্লোর দখল করে বিগত ছয় মাস ধরে স্বামী, সন্তান আর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন বিদ্যালয়ে। শুধু তাই নয়, তার করোনাকালের সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে রীতিমত কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন।

বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নিয়ে দুই শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা গেল ছয় মাস ধরে এমন কর্মকাণ্ড করে আসছেন বলেও অভিযোগ তাদের। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কোচিং বাণিজ্য চালালেও ভয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনাটি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। শিক্ষার্থীদের একটি শ্রেণিকক্ষের পুরো ফ্লোর দখল করে নিয়েছেন সামসুন্নাহার ও শাহরিয়া আক্তার শিখা নামে দুই সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, বিগত ছয় মাস ধরে ওই দুই শিক্ষক তাদের স্বামীসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে ওই শ্রেণিকক্ষে বসবাস করে আসছেন। তারা শুধু বসবাসই করেন না, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত প্রাইভেট-কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ কাম-সাইক্লোন শেল্টারের দ্বিতীয় তলায় আসবাবপত্র দিয়ে পুরো সংসার সাজিয়েছেন ওই দুই শিক্ষক। রয়েছে কোচিং করানোর জন্য পৃথক রুমের ব্যবস্থা।

জানতে চাইলে শ্রেণিকক্ষ দখলকারী শিক্ষক সামসুন্নাহার ও শাহরিয়া আক্তার শিখা বলেন, বিশেষ বিবেচনায় ওই বিদ্যালয় ভবনে তারা বসবাস করছেন। বিদ্যালয় খুললে আবার চলে যাবো। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তেই তারা বসবাস করছেন। তবে প্রাইভেট কোচিং করানোর বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি অনুমতি দেইনি। ওই দুই শিক্ষকের থাকার বিষয়ে আমার মতামত জানতে চাইলে আমি বলেছি, এই মুহূর্তে যদি ওই ভবনটি প্রয়োজন না হয় সেক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে আমার কোনো আপত্তি নেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাদের থাকতে দেয়া হয়েছে। তবে কোচিং করানোর বিষয়টি তিনি জানেন না।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, এভাবে বিদ্যালয় কিংবা শ্রেণিকক্ষে বসবাস কিংবা কোচিং করানোর কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত সাপেক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.

%d bloggers like this: