স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীর ভালো না থাকলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। তবে শরীর যাতে না খারাপ হয় এজন্য সুস্থ জীবন-যাপন করা জরুরি। এ ছাড়াও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধে।
বিশেষ করে নারীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় জীবন। শরীরে বড়সড় বদল ঘটে। পরিবারের দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে।কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব ফেলে। বয়স বাড়তে শুরু করলেই নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় শারীরিক বদলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়।
ঘুম কমে যায়, শরীর হঠাৎ হঠাৎ গরম হয়ে যায়, অদ্ভুত এক দুর্বলতা আসে। শরীর যেন নিজেরই নাগালের বাইরে চলে যায়। ফলে ৫০ বছরের পর থেকেই নারীদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।
জানেন কি? পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হার বেশি। নারী রোগীদের মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
এমনকি বেশিরভাগ নারীদের মূত্রনালীর সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এসব রোগ তাদের জীবননাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জেনে নিন বয়স বাড়লেই নারীদের শরীরে যেসব রোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে-
>> বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের মধ্যে হতাশা আর উদ্বেগ দেখা দেয়। শরীরে হরমোন ওঠানামার জন্য হতাশা বা উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে। পেরিমেনোপজ এবং মেনোপজের পরিবর্তনগুলো হতাশার কারণ হতে পারে।
>> গর্ভাবস্থার সময় থেকে নারীর শরীর অনেকাংশেই ভেঙে পড়ে। যদি গর্ভাবস্থায় কোনো নারীর হাঁপানি, ডায়াবেটিস বা হতাশা থাকে; তবে মা ও শিশু দু’জনেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে রক্তাল্পতা হতে পারে।
>> নারীরা ঋতুস্রাব, প্রসব, গর্ভাবস্থা এবং মেনোপজের মতো অনেক ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়। অনেক সময় যৌন সমস্যা, প্রজনন বড় সমস্যা হয়ে যায়। যদি উপেক্ষা করা হয় তবে বন্ধ্যাত্ব এবং কিডনি সমস্যার মতো গুরুতর পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
>> হার্ট অ্যাটাক সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তেমনটি নয়। হার্ট ডিজিজের শিকার হতে পারে নারীরাও। সমীক্ষা অনুসারে, ৫৪ শতাংশ মহিলা হৃদরোগের শিকার হন।
>> ডিম্বাশয় এবং জরায়ুর ক্যানসারে প্রতিবছর অনেক নারী মারা যান। যেসব নারীদের পিসিওডির সমস্যা রয়েছে; তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
> ব্রেস্ট ক্যানসারে অনেক নারীরাই আক্রান্ত হয়ে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় যদি এ রোগটি প্রতিরোধ করা যায়; তাহলে হয়তো রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
মার্চ ০৮, ২০২১ at২০:০৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জেএন/এমআরএইস
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.