সোমবার (৮ মার্চ) রাত ১০টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিডনিজনিত সমস্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বাদ ফজর ভোরে নিকেতন মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শাহীন আলমের জামাতা তানভীর বলেন, ‘বাবা লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। মরদেহ এখন আজগর আলী হাসপাতালেই আছে। এখানেই গোসল শেষে তাকে তার নিকেতনের বাসায় নেওয়া হবে। এলাকার চার নম্বর রোডের মসজিদে ভোরে জানাজা হবে।’ কিডনি জটিলতায় শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে জরুরিভিত্তিকে শাহীন আলমকে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে থাকায় শনিবার ভোরেই লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় তাকে।
জানা যায়, পাঁচ বছর আগে থেকে শাহীন আলম কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। চলছিল ডায়ালাইসিস।
দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমায় অনিয়মিত ছিলেন শাহীন আলম। হঠাৎ করে ২০১৯ সালে খবর পাওয়া যায়, তিনি গুলিস্তানে কাপড়ের ব্যবসা করে দিনাতিপাত করছেন। জানা যায়, করোনা মহামারি শুরুর পর দোকানও বন্ধ রাখতে হয়েছিল শাহীন আলমকে। সেই সময়ে অর্থনৈতিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অনেক কালক্ষেপণ করতে হয়েছিল তাকে। অন্যদিকে, মিডিয়া থেকে দূরে থাকায় তার খোঁজ-খবরও তেমন কেউ পাননি।
১৯৮৬ সালের বিএফডিসির নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শাহীন আলম। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে- ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগ বস, বাবা, বাঘের বাচ্চা, বিদ্রোহী সালাউদ্দিন প্রভৃতি।
মার্চ ০৯, ২০২১ at১০:০৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভিকে/এমআরএইস
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.