মুফতি মামুন ওরফে ল্যাংড়া মামুন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান পা হারালেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে ছিলেন না । ভগ্নিপতির টাকা আত্মসাৎ করে পটুয়াখালী শহরে একাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আটকে রেখে আপত্তিকর ছবি তুলে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। তার দুটি টর্চার সেলও রয়েছে । পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী শিবু লালের থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে অপহরণ করেন মামুন।
ল্যাংড়া মামুনের ইচ্ছে ছিল আত্মসাতের টাকায় দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে বড় গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করবেন। অন্যদিকে পিচ্চি রানার ইচ্ছা ছিল একাধিক ট্রাক কিনে ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে পরিবহন ব্যবসা শুরুর। আর চালক জসিম উদ্দিনের ইচ্ছে ছিল মুক্তিপণের টাকায় নিজস্ব বাস কেনার। রেন্ট-এ-কারের দালাল আশিক চেয়েছিলেন নিজের প্রাইভেটকার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, অপহরণের আগে একাধিক দিন এ টিমের সদস্যরা রেকি করেন। পরে ১১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় ফিল্মি স্টাইলে ব্যবসায়ী শিবু লালকে অপহরণ করে চক্রটি।
অপহরণের পরদিন ১২ এপ্রিল রাতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা বস্তাবন্দী মুমূর্ষু অবস্থায় ভুক্তভোগীকে এসপি কমপ্লেক্স শপিং সেন্টারের আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা ও গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী শিবু লাল দাসকে অপহরণের মূলহোতা ল্যাংড়া মামুন ওরফে মুফতি মামুনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি গুলশান বিভাগ।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, মূলহোতা ল্যাংড়া মামুনের সহযোগী পিচ্চি রানা, বিআরটিসির চালক জসীম উদ্দীন ও আশিকুর রহমান। এসময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, মোবাইল ফোন, গামছা ও চার হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কে.এম হাফিজ আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ, ডিবি গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান।
এপ্রিল ২০.২০২২ at ১৬:১৯:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শাশি
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.