বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রায় ২৩০টি ভাসমান আতর, সুরমা ও টুপি’র দোকানে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা বেচা-কেনা হয়েছে। এতে ভাসমান ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মুসলিম ধর্মের সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। এ উৎসবের সাথে আতর, সুরমা ও টুপির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানের দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ-উল-ফিতরের দিনে মুসল্লিরা ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে সকাল সকাল ঈদগাহ যায়; ঈদগাহ মাঠে যাওয়ার জন্য মুসলিমরা মাথায় টুপি দিয়ে আতর সুরমা লাগায়।
করোনা মহামারী শেষে দীর্ঘ ২বছর পরে এবার ঈদগাহ্ধসঢ়; মাঠে নাজাজ অনুষ্ঠিত হবে। সে উপলক্ষে শিবগঞ্জ উপজেলার মুসল্লিদের আতর, সুরমা ও টুপি কেনার ধুম পরেছে। এ উপজেলার গুজিয়া, নাগর বন্দর, মোকামতলা, আমতলী, কিচক, দাড়িদহ, পিরব, বুড়িগঞ্জ ও ভাইয়েরপুকুরসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ২৩০টি ভাস্যমান দোকান থেকে মুসল্লিরা আতর, সুরমা ও টুপি ক্রয় করছেন।
আতর, সুরমা ও টুপি ক্রেতা সিয়াম ও আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা হাফেজি মাদ্রাসায় পড়ি। আমরা ঈদের মাঠে যাব তাই আতর, সুরমা ও টুপি কিনতে এসেছি। গত দু’বছর করোনার কারণে ঈদগাতে নামাজ আদায় করতে পারিনি।
পৌরসভার নিমতলা এলাকার ভাস্যমান আতর, সুরমা ও টুপি ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার দোকানে ২০ টাকা ১২০ টাকা দামের টুপি, ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দামের সুরমা ও ১৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতর বিক্রি করছি। তিনি আরো জানান, ১৫ রমজান থেকে আমরা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত দোকানে আতর, সুরমা ও টুপির পশরা সাজিয়ে বসে থাকবো। তবে টুপির চেয়ে আতর ও সুরমা বেশি বিক্রি হয়েছে।
অপর ভাসমান আতর, সুরমা ও টুপি ব্যবসায়ী তৌহিদ বলেন, দিনে ১২’শ থেকে ২’হাজার টাকা পর্যন্ত আমার দোকানে বিক্রি হয়। মাদ্রাসার কচি-কাচা শিক্ষার্থীরা আমার দোকান থেকে বেশি আতর, সুরমা ও টুপি কিনেছেন।
শিবগঞ্জ বরকতিয়া মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠের পেশ ঈমাম মাওঃ আলমগীর হোসেন বলেন, পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে আতর, সুরমা ও টুপির প্রচলন মুসলিম সমাজে সুন্নত হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই ঈদগাহে সবাই আতর, সুরমা ও টুপি পরে যায়।
এপ্রিল ৩০,২০২২ at ১৩:৪৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শাশি
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.