নাটোরে ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। মাত্র ছয়মাসেই পরিসমাপ্তি ঘটলো গড়া খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের সংসারের।রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারাপাড়ার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার ‘স্বামী’ মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।
শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। অপরদিকে, মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা। এর আগে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, মন্তব্য কখনও গন্তব্যে পৌঁছাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছে, রবিবার ভোরে ‘স্বামী’ মামুন তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের অবহিত করে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেয় তারা।
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছে,
- ‘স্বামী’ মামুন তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের অবহিত করে।
- লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
- মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেয় তারা।
- ছাত্র-শিক্ষিকা দম্পতির বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় মৃত্যুর মাধ্যমে প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটল।
নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে তখন বর ছাত্র মামুন জোরালোভাবে বলতে থাকেন, ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, মন্তব্য কখনও গন্তব্যে পৌঁছাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তার এমন বক্তব্যও সারা দেশে ভাইরাল হয়। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করা আলোচিত এই ছাত্র-শিক্ষিকা দম্পতির বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় মৃত্যুর মাধ্যমে প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.