ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ২০১৯-‘২০ অর্থবছরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ২০১৯-‘২০ অর্থবছরের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকারিভাবে ৪৮ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু উক্ত বরাদ্দের টাকা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ব্যয় না করে নিজ দপ্তরের কাউকে না জানিয়ে উপরোক্ত টাকা একাই হাতিয়ে নেন।
সুত্রটি আরো জানায়, ২০১৯-’২০ অর্থবছর ছিল করণা মহামারীর বছর। আর এ মহামারীর কারণে সরকার প্রাথমিকসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে বরাদ্দকৃত টাকার এ্যাসিসটিভ ডিভাইস প্রতিবন্ধী শিশুদের না দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তা নিজের পকেটে ভরেন। ঐ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের টাকা ব্যয় না করলেও পরের অর্থবছর গুলোতে একই খাতে বরাদ্দের টাকা যথাযথভাবে ব্যয় করেছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানুর বলেন, ২০১৯-‘২০ অর্থবছর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রতিবন্ধী শিশুদের বরাদ্দের এ্যাসিসটিভ ডিভাইস কালীগঞ্জ উপজেলার কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন কোন প্রতিবন্ধী শিশুদেরকে প্রদান করেছেন তা তিনি বলতে পারেননি।
তবে তিনি বলেছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বরাদ্দের টাকা আমি ব্যয় করেছি। কিন্তু এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নামের তালিকার কাগজ অনেক দিন আগের ঘটনা হওয়ায় আমি খুঁজে পাচ্ছিনা তাছাড়া বর্তমানে আমি বদলি হয়ে গেছি বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ পাই তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা মিললে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.