বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া বলেছেন, চৌদ্দ সালের মতো একতরফা এবং আঠারো সালের মতো দিনের ভোট রাতে করে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় যেতে দেওয়া যাবে না। তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে, তারা আর বেশিদিন নাই।
দুই ঘন্টাব্যাপী শহরের কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি’র অভিযোগ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে নওগাঁয় বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই কর্মসূচি চলাকালে পুুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তারপরও দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, বিদ্যুতের দাম আজকে আকাশচুম্বী। মানুষের পিঠ আজকে দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা তাকিয়ে আজকে বিএনপির দিকে। বিএনপি হেরে গেলে এ দেশের জনগণ হেরে যাবে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজকে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এ দেশের মানুষ না খেয়ে মরছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে আরাম-আয়েশে জীবন-যাপন করছে। দেশে এই পরিস্থিতিতে আর চলতে দেওয়া যাবে না। তত্ত¦াবধায়ক সরকার ছাড়া আগামীতে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক, নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টুকু, মামুনুর রহমান রিপন, শেখ রেজাউল ইসলাম, শফিউল আজম (ভিপি) রানাসহ প্রমুখ।
এদিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষে শহরের মুক্তির মোড়ে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, আজ দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য শহরের মুক্তির মোড়ে জড়ো হচ্ছিল তখন পুলিশ সেখানে বাধা দেয়। পুলিশের হামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল হোসেন ও জেলা জিয়া সাইবার ফোর্সের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রানা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান মুঠোফোনে বলেন, ‘মুক্তির মোড়ে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। সেখানে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে মারধরও করেনি পুলিশ। বিএনপি ভালোভাবেই কর্মসূচি পালন করেছে। তাই বিএনপির অভিযোগ সত্য নয়।
এপ্রিল ০২, ২০২৩ at ১১:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/চ্যাআ/সুরা
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.