নেত্রকোনার মদন উপজেলায় হাতি দিয়ে সকাল- সন্ধ্যা চাঁদা তোলা হচ্ছে। হাতির মাহুত সাগর তিন দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাঁটবাজার ও সড়কে যানবাহন আটকিয়ে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলায় ১১টি হাটবাজার রয়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গত কয়েক দিন যাবত সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিভিন্ন হাটবাজারে হাতির মাহুত সাগর মিয়া চাঁদা তুলছেন। চাঁদা দিলে হাতি শুঁড় দিয়ে নিয়ে মাহুতকে দেয়। আর চাঁদা না পেলে উচ্চ স্বরে হুংকার ছাড়ে। ভয়ে ব্যবসায়ী ও পথচারী বাধ্য হয়ে চাঁদা দিচ্ছেন। এ দিকে শিশুরাও ভয়ে ভয়ে থাকছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার ও মঙ্গলবার উপজেলার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে।
হাতির মাহুত সাগর মিয়া বলেন, ‘চাঁদা তো না, সাহায্য নিচ্ছি। সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। হাতিকে খাওয়ানোর জন্য সাহায্য চাইতে চাইতে সিলেট থেকে মদন উপজেলা পর্যন্ত এসেছি।
মদন বাজারের সুশিল পাল স্টোর এর ম্যানেজার অর্পন সরকার বলেন, হঠাৎ বিশাল দেহের হাতিটি ছেলেটির ইশারা ইঙ্গিতে শুঁড় এগিয়ে দিল দোকানের মধ্যে। টাকা না দিলে হাতিটি যাবে না। এজন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করলাম। আমরা বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি।
পথচারী কামাল হোসেন বলেন, আমি গোবিন্দশ্রী থেকে মদন আসতেছি এর মধ্যেই হাতির মাহুত আমার গাড়িকে ইশারা দেয়। তাৎক্ষণি হোন্ডারটি থামাতে হল। পরে ১০ টাকা দিয়ে রেহাই পাই। অনেক যানবাহন আটকিও টাকা চাঁদা আদায় করছে।
মদন থানার ওসি তাহওহির রহমান বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তুলছে বিষয়টি আমার জানা নেই।
এপ্রিল ০৪, ২০২৩ at ১৫:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআম/সুরা
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.