আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর বঙ্গবাজারে নতুন পাইকারি মার্কেট নির্মাণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ভবনগুলো ভেঙে স্টিলের অবকাঠামো দিয়ে ১০ তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে দোকান মালিক সমিতির নেতাদের বাধার কারণে নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। দরপত্র আহ্বানের পর ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল এসব কথা বলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাই মনে হচ্ছে। তার পরও এটি কোথা থেকে এবং কীভাবে শুরু হয়েছে, তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভবন নির্মাণে ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। নির্মাণকাজ করতে ঠিকাদারকে কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছিল।
রাজধানীর বঙ্গবাজারের স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫০ হাজার পরিবার পথে বসেছে। ফায়ার সার্ভিস বারবার সতর্ক করার পরও ‘বাঁধার কারণে’ কাঠ-টিনের স্থাপনা ভেঙে বহুতল ভবন তৈরি করতে পারেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। উচ্চ আদালতের আদেশে আটকে যায় বহুতল ভবন নির্মাণকাজ।
কিন্তু এর নেপথ্যে থেকে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে ‘জনমত’ তৈরি করেছে সুবিধাভোগী একটি চক্র। তারাই মূলত ৫টি মার্কেট থেকে বিভিন্নভাবে সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। এই চক্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন এমনকি, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। দোকান বরাদ্দ, ধাপে ধাপে চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাটোয়ারার হিসেবে তারা সবাই একাট্টা। তারাই এখন পুড়ে যাাওয়া মার্কেটের স্থান দখলে রাখতে চেষ্টা তদবির ও ফন্দিফিকির করছেন। সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে তারা দেনদরারের চেষ্টা করছেন।
এপ্রিল ০৬, ২০২৩ at ১০:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কাবে/সুরা
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.